আজকে আমরা আলোচনা করব, বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম অথবা সকল সিমের ব্লক খোলার নিয়ম। বর্তমানে অসংখ্য মানুষ সিম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। তার মধ্যে অন্যতম একটা সমস্যা হলো সিম ব্লক হয়ে যায়। অতএব এই বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্য সকল সিমের ব্লক খোলার নিয়ম অনেকেই জানেনা। এখন অনেক মানুষই এই সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে সিম ব্লক হতে পারে। তাই আপনার কোন সিম যদি ব্লক হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই বিষয়টি আপনার জন্য। এবং এই বিষয় থেকে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
সুতরাং আমরা এখন আলোচনা করব বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য স্নেহের ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে। আসুন দেখে নেয়া যাক বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য সিমের ব্লক খোলার নিয়ম।
বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্য সিম ব্লক খোলার নিয়ম
মানুষ তাদের সুযোগ সুবিধা এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন সিম ব্যবহার করে থাকে। এবং সিমের নিরাপত্তার জন্য সিম লক করে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা সিম লক এর পিন নম্বর ভুলে গেলে কীভাবে লক খুলবো। যখন আমরা সিম কোড বা পাক কোড ভুলে যায় তখন আমরা একটা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় যে, কীভাবে সিম লক খুলবো বা আনলক করব। সুতরাং আজ আমরা আপনাদের বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য সিমের ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে অবগত করার মাধ্যমে সেই সমস্যা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করব । অতএব আপনার সিমটা যদি ব্লক হয়ে যায়। তাহলে আপনি বিভিন্ন উপায়ে বা নিয়মে ব্লক খুলতে পারবেন।
- আপনি যখন নতুন সিম কিনবেন তখন দেখবেন ওই সিমের উপরে PIN Code বা PUK Code লেখা থাকে।
- আবার অনেক সময় দেখা যায় প্যাকেটের উপরেও PIN Code বা PUK Code লেখা থাকে ।
- আরেকটা উপায় আছে সেটা হল অনেক সময় দেখা যায় ১২৩৪ PIN Code থাকে। কিন্তু আপনি যদি ভুলে অন্য PIN Code ট্রাই করতে থাকেন তখন আপনার কাছে PUK Code চাইবে। সে ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় কি এক একটা সিমের PUK Code এক এক রকমের হয়ে থাকে।
সে ক্ষেত্রে আপনি তিনটা উপায় অবলম্বন করতে পারেন
- প্রথমটা হল আপনার যে সিমটা ব্লক হয়ে গেছে ওই সিমে যে PUK Code আছে । ওই PUK Code দিয়ে ট্রাই করতে পারেন।
- দ্বিতীয়ত, যে NID দিয়ে আপনার সিমটি রেজিস্ট্রেশন করা। সেই NID নিয়ে ওই সিমের কাস্টমার কেয়ারে কল দিবেন। তখন আপনাকে তারা একটা PUK Code দিবে। সেই PUK Code টি দিয়ে সিমটি UN BLOCK করতে পারেন।
- তৃতীয় অপশনটি হলো,আপনি যদি PIN Code,PUK Code দুটোই LOCK করে ফেলান। সেক্ষেত্রে আপনি কাস্টমার কেয়ারে কল করে সাহায্য চাইতে পারেন।
আপনি চাইলে উপরে উল্লিখিত বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম গুলার মাধ্যমে একটা হারানো পিন কোড বা লক করা সিমটি পুনরুদ্ধার করতে পারেন
এছাড়াও আরেকটা সহজ অপশন আছে। সেটা হল আপনি যেই সিম ব্যবহার করেন। এবং সেই সিমের অ্যাপস ও যদি আপনি ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই অ্যাপস থেকে সিম UN BLOCK করতে পারবেন। এবং সিম সম্পর্কে যে কোন তথ্য আপনি সেখানে পেয়ে যাবেন।
উপরে উল্লিখিত এই উপায় হ্যালো বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য সিম ব্লক খোলার নিয়ম।
বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য সিম ব্লক খোলার নিয়ম জানার পাশাপাশি আমাদের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা জানা প্রয়োজন। আসুন জেনে নেয়া যাক বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য সিমের ব্লক খোলার নিয়ম জানার পাশাপাশি । যে সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জানা দরকার।
এখন আমরা SIM Lock এর কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেই
SIM Lock সুবিধা হত আপনার সিমটা যদি হারিয়ে যায় বা কেউ নিয়ে যায় ।সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যখন অন্য কোন ডিভাইসে সিমটা অন করতে যাবে তখন পাসওয়ার্ড চাইবে বা পিন কোড যাবে। তখন ওই ব্যক্তি যদি ৩ বার ভুল পিন কোড দেয় এবং বারবার ভুল পিন কোড দিয়ে ট্রাই করার পর তখন তার কাছে পাক কোড চাইবে। সে যদি ভুল পাক করে দিয়ে ১০ বার ট্রাই করে তখন সিমটি অটোমেটিক ডিএক্টিভ হয়ে যাবে। এবং সেই ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেনা।
তবে আপনি চাইলে কাস্টমার কেয়ার যেয়ে সিমটা রিপ্লেস করে নিতে পারবেন।
SIM Lock কিছু অসুবিধা
আপনি যদি আপনার সিমে নিরাপত্তার জন্য লক করে রাখেন। তখন দেখা গেছে আপনার সিনটি নিয়ে কেউ যদি তার ডিভাইস অন করতে যায় তাহলে বারবার ভুল PIN Code,PUK Code দেয়ার কারণে সিমটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পরিশেষে আমার কিছু কথা
বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম বা অন্যান্য সিম ব্লক খোলার অনেক নিয়ম থাকতে পারে। তবে এই নিয়মগুলো খুবই ইজি এবং এর মাধ্যমে খুব সহজে আপনি আপনার বাংলালিংক সিমটির ব্লক খুলতে পারেন। বর্তমানে সিমের গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি করছে। তাই আমাদের সকলের সিম ব্যবহারের পাশাপাশি সিম ব্লক খোলার নিয়ম গুলো জেনে রাখা প্রয়োজন। আশা করি এখান থেকে বাংলালিংক সিম ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। তবে সিমের নিরাপত্তার জন্য যখন সিম টি লক করবেন। তখন অবশ্যই সিমটির PIN Code এবং PUK Code সংরক্ষিত করে রাখবেন তাহলে পরবর্তীতে সিম আনলক করার সময় আপনাদের অতিরিক্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।