নিজস্ব প্রতিবেদক ২২ নভেম্বর ২০২০ , ৪:৪০ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ—৩ সোনারগাঁ আসনের জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে একটি কুচক্রি মহল। নিজেরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নামফলক ভেঙ্গে সাংসদ সদস্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সোনারগাঁয়ের লাখ লাখ মানুষ এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভায় অবস্থিত সোনারগাঁ জি.আর. ইনষ্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকদের মাঝে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ওই বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধে উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ—৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া, কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, বিদ্যালয় গভর্ণিং বডির সদস্য মোহাম্মদ আলী, সোনারগাঁ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি এম.এ জামান, শিক্ষানুরাগী আলেয়া আক্তার এবং মিডিয়াকমীর্সহ এলাকার শতশত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ সময় সাংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা করোনাকালীন সময়ের সময় সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেওয়ার জন্য কথা বলেন এবং তিন মাসের বেতন মওকুফ করার জন্যও নির্দেশ দেন। পরে তিনি শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের দরিব উদ্দিন ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে চলে যান। এ সুযোগে কে বা কাহারা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে ফেলে। বিষয়টি কতিপয় কুচক্রি মহল সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে নামফলক ভেঙ্গে ফেলা হয় বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল বলেন, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে স্থাণীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সহধমীর্নি ডালিয়া লিয়াকতকে নাগরিক কমিটির সমর্থনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও তার সহধমীর্নির সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রি মহল বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের দায়ভার ডাকতে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আমার বড় ভাইয়ের মত। সব সময় আমি তাকে বড় ভাইয়ের মত সম্মান করি। তিনিও আমাকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করেন। রাজনীতি করতে গিয়ে জামাত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে এক সাথে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তার সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নেই। আমার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ও আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। এটা কোন ভাবেই সোনারগাঁয়ের জনগন মেনে নিবে না। তিনি আরোও বলেন, আনোয়ার ভাইয়ের নাম সম্বলিত ফলকটি ভাঙ্গার খবর পেয়ে সাথে সাথে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী সহ কয়েকজনকে নতুন করে আনোয়ার ভাইয়ের নাম সম্বলিত নামফলক স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করি।