নিজস্ব প্রতিবেদক ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১০:১৪ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াবদা কলোনী এলাকায় পানি উন্নয়ণ বোর্ডের স্কুলের মাঠে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার ফলে নতুন ভবন স্থাপনে বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াবদা কলোনী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবৈধ ভাবে জোড় পূর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন ওই এলাকার আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক ছিয়াশি লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তদানুযায়ী সয়েল টেষ্ট, ডিজাইন, প্রক্কলন অনুমোদন শেষে ভবনটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সর্বোনি¤œ দরদাতা হিসেবে মোস্তফা এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। কাজটি পাওয়ার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্কুল পরিচালনা কমিটির উপস্থিতিতে ভবনের নির্মাণ কাজটি করার জন্য অবৈধ স্থাপনাটি সরিয়ে ফেলার প্রয়োজন মনে করেন তারা। অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাটির কারনে অত্র এলাকার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নতুন ভবনটি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষন ২০২১ এর বাস্তব রুপদানে ব্যহত হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে অবৈধ স্থাপনাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, ওয়াবদা কলোনী এলাকার বাসিন্দা এক সময়ে জোট সরকারের আমলে জামাত বিএনপির অন্যতম নেতা আব্দুল হাই এই স্থাপনাটি না সরানোর জন্য নানা কুটকৌশল করছেন। সে ২০০৬ সালে জোড়পূর্বক পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জমিতে এই স্থাপনাটি নির্মাণ করেন। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণ ছাড়া অন্যকোন কিছু নির্মাণের নিয়মনীতি নেই। এছাড়াও এলাকায় ফেলু মেম্বার হিসেবে পরিচিত আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অণ্যের জমি দখল, অন্তজিলা ট্টাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে পরিবহন চাঁদাবাজি,চোরাই গ্যাস সংযোগে চুনা পাথরের ব্যবসাসহ নানান অবৈধ ব্যবসার সাথে জোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে। পানি উন্নয়ণবোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহমত উল্লাহ এই প্রতিবেদককে বলেন, ১৯৯৯ সালের বারোই জুন পান্নিয়ণবোর্ড উচ্চবিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেন। ২০০১ সালে জমিটি সাব কাবলায় জমিটি পরিপূর্ন করে দিয়ে দেন পাউবো। ধীরে ধীরে স্কুলটি হয়ে উঠেন এই অঞ্চলের শিক্ষার অন্যতম স্থান। ২০০৬ সালে আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি জোড় পূর্বক নিয়মনীতি অমান্য করে একটি অবৈধ স্থাপনা তৈরী করেন। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ন বেঈনী নিয়ম। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠাতা লিখে সাটিয়ে দিয়ে ফেইল করা মেম্বার জামাত বিএনপি নেতা আব্দুল হাই নিজেকে একজন বড় শিক্ষাবিদ মনে করছেন। তবে এলাকাবাসী বলছেন শিক্ষায় হাতে খড়িও হয়নি আব্দুল হাইয়ের। বিষয়টি নিয়ে আব্দুল হাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেঁটে দেন। স্থানীয়রা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চবিদ্যালয়টি চিটাগাংরোড, ওয়াবদা করোনী, হাউজিংসহ পুরো সিদ্ধিরগঞ্জজুড়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যহত করতেই আব্দুল হাই একটি সিন্ডিকেট নিয়ে নতুন ভবনের কাজ বন্ধে নেমেছেন। যা এলাকাবাসী কখনোই মানবেনা। পানি উন্নয়নবোর্ড উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিএম এমদাদুল হক জানান, আমরা নতুন ভবন নিমার্ণের বাধা অবৈধ স্থাপনা সরাতে জেলা প্রশাসক, এসিল্যান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষন বাস্তবায়নে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে এই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দিবেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুস্তাইম বিল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।