নিজস্ব প্রতিবেদক ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:৩৩ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকার আশুলিয়ায় একটি মাদ্রাসায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিশুকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে নির্যাতনের অভিযোগে এক শিক্ষকসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীপুরের মধুপুরে জাবালে নূর কওমী মাদরাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। নির্যাতিত শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাশেদের (১৪) বাড়ি টাঙ্গাইলে ও অপর শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ফুয়াদের (১০) বাড়ি ঝালকাঠি সদরে। নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানায়, তার সহপাঠী রাকিবুল নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে নিয়ে এসে মাদরাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় শিক্ষক ইব্রাহিম। এসময় রাকিবুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তাকেও নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করে জখম করেন ওই শিক্ষক।
ধামসোনা ইউপি মেম্বার মোনতাজ উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানায়, গত দুই বছর পূর্বে মধুপুর এলাকায় ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলায় ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আবাসিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে কওমী মাদরাসাটি। তবে ইব্রাহিম ও ওবায়দুল্লাহ নামে দুইজন হাফেজ দিয়েই চলতো প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালায় মাদরাসার শিক্ষক ইব্রাহিম। পরে সোমবার শিশুদের শরীরে পাশবিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। এরপরই এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সোমবার রাতে অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় অপর শিক্ষক ওবায়দুল্লাহকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।