জাতীয়

মিজানুর রহমান মিনা ও কাদির বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বন্দর,সোনারগাঁও,আড়াইহাজার,রুপগঞ্জ,ও গজারিয়ায় গ্যাস সংযোগের রমরমা বাণিজ্য

  নিজস্ব প্রতিবেদক ৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ৭:৫০ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

মিজানুর রহমান মিনা ও কাদির বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বন্দর,সোনারগাঁও,আড়াইহাজার,রুপগঞ্জ,ওগজারিয়ায় গ্যাস সংযোগের রমরমা বাণিজ্য।বানিজ্যিক গৃহস্থালি গ্যাস সংযোগের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী কাদির ও মিজান অবৈধভাবে পাইপলাইন সংযোগের মাধ্যমে ‘ওপেন সিক্রেট’ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ সংস্থার একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা। ১০ বছর ধরে এই অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যের ফলে এসব এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিস্তৃত হয়েছে। মূল্যবান গ্যাস অনুৎপাদন খাতে ব্যবহারে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের জ্বালানি নিরাপত্তা। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে। অন্যদিকে দুর্বৃত্তরা এই অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।বানিজ্যিক ও গৃহস্থালি কাজে অবৈধ গ্যাসের ব্যাবহার করে অবৈধ গ্যাস বাণিজ্যের অরাজকতা বন্ধ করতে জরুরী পদক্ষেপ দরকার।কার্যত ২০০৯ সাল থেকেই সরকার সারা দেশে বাসাবাড়িতে পাইপলাইন গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।এই সুযোগে গ্যাস কোম্পানিগুলোর দুর্নীতিবাজ কর্মী ও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন গ্যাস লুটেরা মিজানুর রহমান মিনা-ও কাদিরগং। বন্দর,সোনারগাঁও,কাঁচপুর,আড়াইহাজার,রুপগঞ্জ,ওগজারিয়ায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি এখন এক প্রকার বানিজ্যিক বিষয়গুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন এবং নিচ্ছেন দুই পক্ষই অবৈধ আর্র্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত এ কাজটি করছেন। এতে সরকার প্রতিবছর বিশাল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্যাসের বৈধ গ্রাহকরা।মিজানুর রহমান মিনা তিতাস এর সিস্টেম অপারেশন বিভাগ,মেট্রো ঢাকায় কর্মরত ছিলেন তার কোড নম্বর ০৯৩৮০ একজন সাহায্যকারী (হেল্পার) ।তিনি গত ১২/০৭/২০২০ তারিখে জোনাল বিক্রয় অফিস সোনারগাঁও হতে বদলী করে ঢাকা মেট্রো মতাতিঝিলে, বদলী হয়ে আসার পর খেকে বদলীকৃত কর্মস্থলে অফিস না করে পুর্বের কর্মস্থল এলাকা গুলিতে কাদির বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে অবৈধ গ্যাস লাইনের মাসোহারা নিয়ে চলেছেন।এভাবে মাসোহারা তুলে বন্দর,সোনারগাঁও,আড়াইহাজার,রুপগঞ্জ,ওগজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যাবহারকারীদের থেকে টাকা তুলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মিজানুর রহমান মিনা।সেখানে অবৈধ গ্যাসের প্রতিটি সংযোগের জন্য প্রথমে নেওয়া হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর প্রতি মাসে গ্রাহকপ্রতি ‘বিল’ তোলা হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে।বর্তমানে তিতাসের মতিঝিল অফিসে কর্মরত থেকে আবার ও সোনারগাঁও অফিসে বদলী হয়ে আসার জন্য জোড় তদবীর চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে সন্ত্রাসী কাদির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কাদির এর ছোট ভাই আসিফ গত কয়েকদিন যাবত তাদের বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় গ্যাস চুরি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় বেশ উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে এসে ভুক্তভোগী গ্রাহক, ঠিকাদার ও এলাকাবাসী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন,বন্দর এলাকার কাজী মতি,লিটু, সহিদ মিয়া, আব্দুল মোতালেব, কাঁচপুর এলাকার সাইফুল, যাত্রামুড়ার মোঃ গিয়াসউদ্দীন,রুপগঞ্জের আব্দুল বাতেন কে মারধোর করে এবং অনেক কে প্রকাশ্যে জীবন নাশের হুমকি দেয়।বহুদিন ধরেই ভুক্তভোগীরা কাদির বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন এ কারনে কিছুদিন পুর্বে এসব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানকারীদের বিষয়ে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বরাবর দরখাস্ত পাঠানো হয়।এছাড়াও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন তালুকদার গত ২২/০৬/২০১৬ তারিখে রুপগঞ্জ থানায় সরকারী কাজে বাধা প্রদান,বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে অফিসে প্রবেশ,সহ কর্মকর্তাদের মারপিট,মোবাইল ছিনতাই,সরকারী অফিসের দরজা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ করে রুপগঞ্জ থানায় কাদির,পিতা-আইয়ুব আলী দেওয়ান এর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।এছারাও অবৈধ ভাবে গ্যাস লাইন (সরকারী সম্পদ ) স্থাপন কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ০২/০২/২০১৬ তারিখে রুপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী হয় যার নং-৬৭।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিতাসের বিতরণ ব্যবস্থায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন রয়েছে। এর মধ্যে শুধু নারায়ণগঞ্জে রয়েছে ১৮০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি অবৈধ পাইপলাইন নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকায়। এ ছাড়াও রূপগঞ্জ, বন্দর, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রাহক গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন। তালিকায় আরও আছে, মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়ার নাম। এখানে অবৈধ লাইন রয়েছে ৩১ কিলোমিটার। রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার অবৈধ আবাসিক ও ক্ষুদ্র শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ রয়েছে।আর এসব অবৈধ লাইনের বেশীর ভাগ গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা তোলেন মিজানুর রহমান মিনা, সন্ত্রাসী কাদির ও তার ছোটভাই আসিফ।তারা যেসব অবৈধ গ্যাস সংযোগের গ্রাহক হতে টাকা নেন তার মধ্যে কয়েকটির সন্ধান পান সংবাদ কর্মীরা এগুলো হলো, তারাব ব্রীজ সংলগ্ন ব্রাদার্স রেস্তোরা এন্ড মিনি ফাস্টফুড,মুসলিম হোটেল,নিউ আলআমীন জান্নাত রেস্তোরা,বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহেনশাহ হোটেল এন্ড রেসটুরেন্ট,হাজী ভান্ডারী হোটেল, বিশ্বরোড থেকে এগিয়ে বরাব স্ট্যান্ড এর মাঝামাঝি এলাকার ফাইজা রেস্তোরা,জনতা হোটেল,বরাব এলাকার আলমদিনা বেকারী,বরাব স্ট্যান্ড এলাকার নিউ দারচিনি,বিসমিল্লাহ হোটেল,সাকিন বিরিয়ানি হাউজ,কিসমত হোটেল, রুপসী স্ট্যান্ড এলাকার মিস্টিমুখ,রুপসী রেষ্টুরেন্ট,মিনিকেট হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট,আদি মিষ্টি ভান্ডার,নাদিয়া হোটেল, বরপা স্ট্যান্ড এলাকার ঢাকা সুইটস,ভুমিকা রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানী হাউস,হোটেল সুনামী রেস্তোরা,সুমী হোটেল এন্ড রেস্তোরা,ভাই ভাই বিরিয়ানি এন্ড সুইটস,বকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার,শ্যামল মিষ্টান্ন ভান্ডার,ধানসিড়ি রেস্তোরা,ক্যাফে নিই প্রিন্স রেস্তোরা,এছাড়াও আলীনুর স্ট্যান্ড থেকে ২০০০ ফুট ২ ইঞ্চি ডায়ার বিতরন লাইন অবৈধ নির্মান করে ১৫০০/১৮০০ গ্রাহক হতে বার লক্ষ টাকা নিয়েছে বলেও জানা গেছে।বন্দর ইস্পাহানী এলাকায় ২ইঞ্চি ডায়া বিতরন লাইন নির্মান করে ৮০০/৯০০ অবৈধ গ্রাহকদের রাইজার দিয়েছে তারা।