জাতীয়

মহান মে দিবসে দুনিয়ার সকল শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক ২ মে ২০২১ , ১২:৪৩ এএম প্রিন্ট সংস্করণ

মহান মে দিবসে দুনিয়ার সকল শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই।  মহান মে’র বীর শহীদদের আত্মত্যাগের ১৩৫ বছর;এছাড়াও আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি এই বছর অথচ আজও আমাদের দেশে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নি।শ্রমিকরা আজও ৮ ঘন্টা বা তারও বেশি দৈনিক কাজ করে, ন্যায্য মজুরিসহ অন্যান্য সকল ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।আজও তারা ট্রেড ইউনিয়ন করার পূর্ণ স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অনেক প্রভাবশালী হন।কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না, দিলেও শর্ত মানা হয় না।তাদের কর্মস্হলে কাজের নিরাপত্তা নেই যার ফলে কেউ আগুনে পুড়ে মরে,কেউ ভবনের নিচে চাপা পড়ে মরে,কেউবা আবার বকেয়া বেতন দেওয়ার দাবি করতে গেলে গুলি খেয়ে মরে।এজন্য শুধু মে দিবস নয় সারা বছর শ্রমিকদের সোচ্চার থাকতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলে গিয়ে সস্তা শ্রমিকের ঘাম-শ্রমের উপর দাঁড়িয়ে একদল লুটেরা ধনিক শ্রেণি গড়ে উঠেছে।অপরদিকে শ্রমিক নূন্যতম জীবনযাপন করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

আজকের এদিনে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ নিম্নোক্ত দাবিসমূহ জানাচ্ছে;

১।অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকের করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা।
২।জাতীয় নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে।
৩।বিচার বিভগীয় তদন্তের মাধ্যমে বাঁশখালী শ্রমিক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৪।২৫ রমজানের আগে সকল শ্রমিকের বেতন,ভাতা বোনাসসহ সকল পাওনাদি পরিশোধ করতে হবে।
৫।রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল, চিনিকল চালু করতে হবে।
৬।করোনায় কর্মহীন সকল শ্রমিকদের জন্য খাদ্য ও নগদ সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
৭।করোনা আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসার দায়িত্ব মালিক বা সরকারকে নিতে হবে এবং মৃত্যুবরণ করলে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৮।রাষ্ট্র ঘোষিত সাধারণ ছুটি কিংবা লকডাউনের সুযোগ নিয়ে শ্রমিকদের মজুরি কর্তন, শ্রমিক ছাঁটাই,শিল্প বন্ধ কিংবা লে অফ ঘোষণা করা যাবে না।