নিজস্ব প্রতিবেদক ২৪ অগাস্ট ২০২০ , ১:৪৪ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মাশফি সুমাইয়া নামের এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার (২৩ আগস্ট) বিকালে ওই ছাত্রীর পিতা মো. শামীম মিয়া বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
রাসেল আহমেদ কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। মামলা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া।
জানা যায়, উপজেলার ষাইটকাহন গ্রামের মো. শামীম মিয়ার মেয়ে মাশফি সুমাইয়া কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে সে কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। সেই স্কুলে পড়ার সময়ে স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক রাসেল আহমেদ এর কাছে প্রাইভেট পড়তো সে।
সে সুবাদে রাসেল আহমেদ এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমাইয়ার। দুজন পৃথক স্থানে থাকলেও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত তিন বছর ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে আসছিলেন রাসেল। গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) গোপনে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন রাসেল।
এমন খবর সইতে না পেরে পরের দিন শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করে সুমাইয়া। আত্মহত্যা করার আগে ওই শিক্ষকের ছবিসহ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় সুমাইয়া।