জাতীয়

ফের মানবিকতার পরিচয় দিল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম 

  নিজস্ব প্রতিবেদক ৬ মার্চ ২০২১ , ২:০৯ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নাজমুল হাসানঃ

ফের মানবিকতার পরিচয় দিল ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই সাইফুল ইসলাম ও তার এক ঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ মানবিক পুলিশ।
ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের কাজ চলমান রয়েছে।ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার পাকা সড়কের মধ্যে কিছু কিছু জায়গা ছিল বড় বড় খানাখন্দে ভরা। তার উপর সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যবস্থা একে বারেই অকেজো হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্ত অার খানাখন্দভরা সড়কে
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। চোখের সামনে ছোট বড় দুর্ঘটনা দেখে ঠিক থাকতে পারেনি ডেমরা জোনের ট্রাফিক পুলিশের চৌকস অফিসার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিঅাই সাইফুল ও তার সাথে নিরলসভাবে কাজ করা এক ঝাঁক পুলিশ সদস্য। চলাচলে অযোগ্য সড়ক নিজ তদারকিতে ও নিজ উদ্যােগে সমন্বিত ভাবে মেরামতি করে গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করল ট্রাফিক পুলিশ।
এই সড়কে চলাচলকারী মোঃরাসেল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন,৫ কিলোমিটার পাকা সড়কে বেশকিছু জায়গায় ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
আর এই রাস্তাটি হচ্ছে ঢাকা শহরে চলাচলের অন্যতম পথ। প্রতিদিন এ সড়কে ছোটবড়  অনেক যানবাহন চলাচল করে।ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যােগ ব্যাপক প্রশংসনীয় ও জনবান্ধব।
জনবান্ধব কাজের ভূমিকায় সমাজকর্মী তুহিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন,বাংলাদেশ পুলিশের আছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস,
১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো,আছে আত্মদানের ইতিহাস!তাই গৌরবে উজ্জ্বল বাংলাদেশ পুলিশ।
আপনি পেশাদারিত্বের ভিতর এবং বাহিরে থেকেও
অন্যের হাসির কারণ হতে পারেন,পারেন মানবিক কাজ গুলো করতে।
এলাকাবাসীর দাবি,ডেমরা জোনের ট্রাফিক পুলিশ বরাবর মানুষের সেবায় বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছে। এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ থাকায় সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হত। পুলিশের এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। পুলিশ কর্মীদের এই কাজে এলাকাবাসী খুশি।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের ডেমরা জোনের এসি ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন,পুলিশের কাজ জনসাধারনের সেবা করা।সেবাই পরম ধর্ম।করোনার দুঃসময়ে পুলিশের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।ট্রাফিক পুলিশ সড়কের শৃঙ্খলার পাশাপাশি ব্যতিক্রমধর্মী কাজ করে জনসাধারণের অাস্তা তৈরি করছে বলে জানান।সকলে মিলে সুখী সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে উন্নত দেশ গড়তে সাহায্য করি।এসময় তিনি তার বাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন।ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামের এই জনবান্ধব কাজকে স্বাগতম জানাই।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন,পুলিশ জনগণের সেবায় নিয়োজিত। পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা তৈরি হউক এটা আমরা চাই।আমরা মানুষের সেবাও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এ বিভাগে কাজ করছি। জনগণের পাশে দাড়ানো মহৎ কাজ এ বল সত্যি প্রশংসনীয়।নিজ উদ্যোগে তাই ইটের খোয়া ও বালি কিনে বড় বড় ভাঙা মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার পর নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে। এজন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই উধ্ধতনদের কারন তাদের কারনে এতটুকু করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রসঙ্গত যে,ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার-রামপুরা-সিলেট সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সড়কের চার লেনের কাজ চলমান থাকায় বেহাল দশায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ হচ্ছে এবং কাজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে বর্তমানে এই সড়কে ছোটো-বড়ো গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। পাশাপাশি রাস্তায় গর্ত থাকায় ও ধুলাবালি  থাকায় সমস্ত যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে খানিকটা স্বস্তি দিতে এগিয়ে আসল ডেমরা ট্রাফিক পুলিশের এক ঝাঁক পুলিশ। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সোমবার সকাল থেকে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্তগুলো ইট দিয়ে ভরে দিয়ে চলাচলে উপযুক্ত করে ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে মানুষের সেবা করতে হয়। সারাদেশের পুলিশ বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে করোনায়।