নিজস্ব প্রতিবেদক ১ জুলাই ২০২০ , ১০:১৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রাইমারিতে ইংরেজি ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, বাংলা ৩০ ভাদ্র ১৪২১ তারিখে রাজস্ব খাতে নিয়োগ এর জন্য সার্কুলার দেয়।যার স্মারক নং প্রাশিঅ/৭ (নিয়োগ) /সাশিনি/(রাজস্ব) /২০১৪/২৪৯.এ সার্কুলারে তখন প্রায় ১৪ লাখ প্রার্থী আবেদন করে সহকারি টিচার হওয়ার জন্য। কিন্তু তখন পুল ও প্যানেল এর রিটের কারনে উক্ত চাকরির এক্সাম চার বছর স্থগিত হয়ে যায়।এরপরে তাদের নিয়োগ শেষ করার পরে ২০১৮ সালে উক্ত স্থগিত চাকরির লিখিত এক্সাম কয়েকটি ধাপে অনুষ্টিত হয়।তখন সারাদেশের প্রায় ১৪ লাখ প্রার্থীর সহিত ব্যাপক প্রতিযোগিতা করে তখন এ এক্সামে ২৯৫৫৫ জন প্রার্থী লিখিত উত্তীর্ন হয়।এদের মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৯০৮৯ এবং মহিলা প্রার্থী ছিলো ২০৪৬৬ লিখিত উত্তীর্ন হয়।তখন লিখিত পাশ এসব প্রার্থীরা চার বছর পরে এসে সহকারি টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে কিন্ত এতো বছর পরেও ভাইবা এক্সাম শেষে চুড়ান্ত ভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে প্রকাশিত চুড়ান্ত ফলাফলে ৯৭৬৭ জন প্রার্থীকে চুড়ান্তভাবে সুপারিশ করে।অথচ তখন কার বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায় ঐ নিয়োগে ১০০০০ সহকারি টিচার নেওয়ার কথা ছিলো।এতে সে হিসাবে তখন ২৩৩ জন কম নেওয়া হয়।এছাড়া এডুকেশন বাংলার নিউজ পোর্টাল এর সংবাদ অনুসারে ২০১৮ সালের মার্চ পযন্ত সারাদেশের সহকারি টিচার এর পদ শুন্য ছিলো ১৮০০০ বেশি। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল প্রকাশিত নিয়োগে আবেদন কারি প্রার্থীরা নিয়োগ লাভের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হয়। এতে ৪৫০ টি রিটের বিপরীতে তখন পুল ও প্যানেল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪২৬১১ জন সহকারি টিচার নিয়োগ লাভের সুযোগ পাই।এতে চার বছর স্থগিত হয়ে যায় ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া।এতে লাখ লাখ আবেদন কারি তখন চার বছর লস খায় এবং ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ দপ্তরের প্রকাশিত নতুন নিয়োগ এ সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ার কারনে তখন এসব প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে নতুন ভাবে আবেদন ও করতে পারেনাই। তাই অনেক প্রার্থীরা চার বছর লসের কারেন সরকারি চাকরির বয়স হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।আর এ চার বছরে তারা নতুন করে প্রাইমারিতে রাজস্ব খাতে কোন সার্কুলার ও পাই নাই।তাই সারা দেশের তখন কার লিখিত এক্সামে উত্তীর্ন টিচার হওয়ার স্বপ্নে চার বছর লসের কারনে বাকি ১৯৭৮৮ জন প্রার্থীদের মানবিক বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিয়ে টিচার হওয়ার স্বপ্ন পুরুন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুবিবেচনা কামনা করছি।আর এক্সাম শতভাগ সুষ্টভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো তাই উত্তীর্ন সকলে মেধাবী।আর এ মেধাবী সকলকে প্যানেল এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিলে প্রাথমিকে যেমন শুন্যপদের ঘাটতি পুরুন হবে তেমনি কোমলমতি শিশুরাও পাবে মেধাবী ও যোগ্য টিচার।তাই মুজিব বর্ষে এ মেধাবী লিখিত উত্তীর্ন সকলকে রিটের চার বছর লসের ইশ্যুতে এবং এদের অনেকের সরকারি চাকরির বয়স হারানোর কারনে নিয়োগ দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখকঃমোঃমাহমুদুল হাসান সোহাগ,২০১৪ স্থগিত এক্সাম ২০১৮ লিখিত উত্তীর্ন প্রার্থী।