জাতীয়

পল্টন থানা যুবদল নেতা কাউসারের প্রতারণার যত অভিযোগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক ২৪ অগাস্ট ২০২১ , ৭:১০ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পল্টন থানা যুবদল নেতা কাওছার আহমেদ ওরফে প্রতারক কাউসার এর অভিনব প্রতারণার শিকার এলাকার বিভিন্ন নিরীহ মানুষ। প্রতারক বাহিনীর প্রদান কাউসার একটি সংঘবদ্ধচক্র তৈরি করেছেন। তার প্রতারণার ফাঁদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তার বাহিনীতে বর্তমানে একাধিক নারী সদস্য ও শিশু রয়েছে এবং তার নিজের পরিবার ও যুক্ত আছে। সে মুন্সিগঞ্জ থানার চরকেওয়ার ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম হাবিব প্রধান। এলাকাবাসী জানায় সে নিজের গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । তাই সে এখন এলাকা থেকে পলাতক। এখন সে বিভিন্ন এলাকা বদল করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করছে। তার আপন ছোট ভাই মামুন একজন স্কুল মাস্টার। সে বলে তার ভাইয়ের অপকর্মে তারা এলাকায় মুখ দেখাতে পারেনা। সে গুলিস্তান এলাকায় পুরান মোবাইলের ব্যবসা করা কালে DB. পুলিশ তাকে বহু সংখ্যক চোরাই মুবাইল সহ গ্রেপ্তার করে এবং ১৫ দিন জেল হয়। এই পর্যন্ত জানা গেছে সে ৬টি বিবাহ করেছে।ছয় জন স্ত্রি সকলেই জিবিত আছে তবে বর্তমানে তার সাথে আছে ৩নং স্ত্রি পারভিন আক্তার ওরফে কাজলি এবং ৬ নং স্ত্রি বিহারি কন্যা(তাওইর সাথে বিবাহিত ও পরিত্যক্ত)।তার ২নং স্ত্রির ঘরে ১৮/১৯ বছরের কন্যা রয়েছে যার খবরই তিনি রাখেনা। আরও বহু নারীদের সাথে সে প্রতারণা করেছে। কেরানীগঞ্জের এক নারী তাকে নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছে সে এখন ফেরারী আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতারক কাউসার কিছুদিন আগে ঝরনা বেগম নামে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে মিরপুরের পালিয়ে এসে একজন রিক্সা গ্যারেজ মালিকের কাছ থেকে ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আদম পাচার কারী ও অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। ইন্ডিয়া থেকে বিভিন্ন অবৈধ মাল দেশে এনে গোপনে বিক্রি করতো। বহু লোকের টাকাপয়সা আত্মসাৎ করেছেন বিদেশ নিবেন বলে। বিদেশের ভিসা লাগিয়ে দিবে বলে ও বহু লোকের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছেন। বর্তমানে সে নতুন নতুন প্রতারণার ফাদ ফাদ তৈরি করছেন। প্রতারণার নতুন পরিচয় হিসেবে সে নিজেকে মানবাধিকার কর্মী ও প্রতিবন্ধী সমিতির লোক হিসেবে দাবি করে। মামলা মোকাদ্দমার ভয়-ভীতি দেখার কারনে অনেকেই তার অপকর্মের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করে না। এলাকার চিটিংবাজী চাঁদাবাজি ও নারী ও শিশু নির্যাতন জবরদখল বিভিন্ন অপকর্মের সাথে কাউসার জড়িত। তার অপকর্মগুলো আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব ও তার আপন ভাই বোনেরা জানে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে প্রতারক কাউসার এর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা তার এই অবৈধ কাজের বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাউকেই ছাড় দেয়না। বর্তমানে এর নজির আছে টিভি মিডিয়াতে দেখা যায়। বিএনপি যুবদলের নেতা প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সবাই এখন সোচ্চার হয়ে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। আরো জানতে পারি প্রতারক চক্রের প্রধান কাউসার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে টাকা পয়সা ধার নিয়েছেন। এখন ওই টাকা ফেরত চাইলে কাউসার এবং তার চক্রর সবাই হুমকি-ধামকি দেয় হয়রানিমূলক মামলা দিবে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং প্রতারক কাওছার চক্রের বিচার দাবি জানাচ্ছি।