নিজস্ব প্রতিবেদক ৩ জুলাই ২০২০ , ৯:৩৮ এএমপ্রিন্ট সংস্করণ
করোনার কারণে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো উচ্যবাচ্য না থাকলেও থেমে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজধানীর দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার।
তবে, আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচন-প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয় নিয়ে বসবেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে গত ১০ মে ঢাকা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। করোনা পরিস্থিতিতে কবে এ আসনের উপনির্বাচন হবে—তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে, আওয়ামী লীগের দলীয় পরিমণ্ডলে এরই মধ্যে আলোচনা চলছে—কে হবেন নৌকার কান্ডারি।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, অবস্থানগত দিক থেকে ঢাকা-৫ আসন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় এলাকা। এখানে দল থেকে অভিজ্ঞ ও নিবেদিত ব্যক্তিকেই প্রার্থী দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত তরুণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বিরোধী দলের থাকার সময় আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন—এমন নেতার হাতে উঠতে পারে মনোনয়ন। এরসঙ্গে যুক্ত হবে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কে কতটা কাজ করেছেন, তাও। তবে এসব অবদান বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, ঢাকা-৫ (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ৭০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডেমরা থানা আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি,আমুলিয়া মডেল টাউনের চেয়ারম্যান হাজী আতিকুর রহমান আতিক। তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছি। সব সময় মানুষের সঙ্গে থেকেছি। এলাকার উন্নয়নে আমার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আমি আশাবাদী।
দীর্ঘদিন ঢাকা পাঁচ আসনে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লা। প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় এসেছে ছেলে মশিউর রহমান সজলের নামও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন মানুষের জন্য কাজ করে তাদের ভালোবাসা পেয়েছেন। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জনগণ কখনো নিরাপত্তাহীণতায় ভোগেনি। জনগণ আমাদের পরিবারকে আস্থার জায়গা মনে করে। মনোনয়ন পেলে জনগণের সেবায় বাবার মতো নিয়োজিত থাকবো।’
মনোনয়নের আলোচনা থাকা আরেক নেতা যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না। তিনি বলেন, ‘দলের বিভিন্ন সংকটে কাজ করেছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সামাজিক কর্মকাণ্ডে মানুষের পাশে থাকার সুযোগ হয়েছে। মনোনয়ন পেলে আরও ভালোভাবে জনগণের সেবা করবো।
আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশিও। তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে মানুষের খুব কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের পরিবার থেকে কেউ এলে জনগণ সত্যিকার অর্থেই জনপ্রতিনিধি পাবে। তাদের হয়ে সংসদে কথা বলবে। এজন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি।’
এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুও।তিনিও গত বার এমপি মোল্লার সাথে যৌথভাবে নমিনেশন পেয়েছেন পরবর্তীতে এমপি মোল্লা পান।তাই তিনি ও এগিয়ে অাছেন এবার।