জাতীয়

ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের নানা অনিয়ম দুর্নীতি নেপথ্যের নায়ক এমদাদ ও কোহিনুর

  নিজস্ব প্রতিবেদক ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৯:৪৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নাজমুল হাসানঃ

রাজধানীর ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। অনিয়ম ও দুর্নীতির নেপথ্যের নায়ক হলেন সাব-রেজিস্ট্রারের সহকারি এমদাদ হোসেন ও কোহিনুর বেগম। সাব-রেজিস্ট্রার অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত না থাকলেও এরা দুজন কৌশলগতভাবে প্রতিদিন নানা অজুহাতের মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে।

অফিস সহকারি এমদাদুল ও কোহিনুর বেগমের সাথে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক দলিল লেখক রয়েছে কয়েক ডজন, তার মধ্যে হল ভেন্ডার মোঃ আইউব ,ভেন্ডার মোহাম্মদ ফারুক,

এরা অফিস সহকারীর সাথে আঁতাত করে জাল-জালিয়াতি দলিল রেজিস্ট্রি করে থাকেন ।

গত ০৭/০৯/২০২০ ইং তারিখে ডেমড়া সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে একটি প্রতারণামূলক পাওয়ার দলিল সম্পন্ন হয় যার দলিল নম্বর ৪৬৮৩।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এমদাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করে দীর্ঘ ২০বছর যাবৎডেমড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রভাব খাটিয়ে কর্মরত আছেন এমদাদ। মাঝে একবার বদলী হন কেরানীগঞ্জ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে।তার ৩ মাস পরে স্পিকার এর সহযোগিতায় বদলি হয়ে আসেন পূর্বের কর্মস্থলে বর্তমান ডেমড়া সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে।ওইখান থেকে এসে বর্তমানে অফিস সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘুষের টাকা এমদাদ সরাসরি নেয় না এজন্য ব্যাবহার করা হয় তার সহযোগী মোছাম্মদ কোহিনুর বেগমকে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার সিরাজ উদ্দিন রোডের শ্মশান সংলগ্ন ১০ তলা একটি ভবনের পাঁচতলায় দুর্নীতির ৪৮ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট ও ৫২ লক্ষ টাকায় ৩য় তলায় আরেকটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন ।এছাড়া ডগাইড় বাজারে ক্রয় করা হয়েছে দোকান এবং বাজারের পাশে ক্রয় করা হয় কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি,এবং গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে ক্রয়করা হয়েছে বিঘায় বিঘায় চাষের জমি। জমির দলিল করার ক্ষেত্রে নগদ টাকা না নিয়ে অনেকের সাথে পার্টনার হিসেবে আছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সামান্য অফিস সহকারির চাকরি করে ঢাকা ও গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন অফিস সহকারি এমদাদ। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন এমদাদ ও কোহিনুর বেগম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডেমড়া সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কয়েকজন ভেন্ডার জানান “আমাদের বর্তমান সাবরেজিষ্ট্রার একজন ভালো মানুষ, কিন্তু অফিস সহকারীএমদাদ ও নকলনবীশ কোহিনুর তারা টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না।আগে তাদের টাকা দিতে হয় তার পরে তারা কাজ করে টাকা পেলে তিতাস,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারী জায়গা ,১ নং খাস খতিয়ানের জায়গা ও সাব রেজিষ্ট্রারের চোখে ধুলা দিয়ে রেজিষ্ট্রি করিয়ে দেয়” এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

ডেমরা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের নানা অনিয়ম দুর্নীতি নেপথ্যের নায়ক এমদাদ ও কোহিনুর

  নিজস্ব প্রতিবেদক ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৯:৪৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নাজমুল হাসানঃ

রাজধানীর ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। অনিয়ম ও দুর্নীতির নেপথ্যের নায়ক হলেন সাব-রেজিস্ট্রারের সহকারি এমদাদ হোসেন ও কোহিনুর বেগম। সাব-রেজিস্ট্রার অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত না থাকলেও এরা দুজন কৌশলগতভাবে প্রতিদিন নানা অজুহাতের মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে।

অফিস সহকারি এমদাদুল ও কোহিনুর বেগমের সাথে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক দলিল লেখক রয়েছে কয়েক ডজন, তার মধ্যে হল ভেন্ডার মোঃ আইউব ,ভেন্ডার মোহাম্মদ ফারুক,

এরা অফিস সহকারীর সাথে আঁতাত করে জাল-জালিয়াতি দলিল রেজিস্ট্রি করে থাকেন ।

গত ০৭/০৯/২০২০ ইং তারিখে ডেমড়া সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে একটি প্রতারণামূলক পাওয়ার দলিল সম্পন্ন হয় যার দলিল নম্বর ৪৬৮৩।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এমদাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করে দীর্ঘ ২০বছর যাবৎডেমড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রভাব খাটিয়ে কর্মরত আছেন এমদাদ। মাঝে একবার বদলী হন কেরানীগঞ্জ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে।তার ৩ মাস পরে স্পিকার এর সহযোগিতায় বদলি হয়ে আসেন পূর্বের কর্মস্থলে বর্তমান ডেমড়া সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে।ওইখান থেকে এসে বর্তমানে অফিস সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘুষের টাকা এমদাদ সরাসরি নেয় না এজন্য ব্যাবহার করা হয় তার সহযোগী মোছাম্মদ কোহিনুর বেগমকে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার সিরাজ উদ্দিন রোডের শ্মশান সংলগ্ন ১০ তলা একটি ভবনের পাঁচতলায় দুর্নীতির ৪৮ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট ও ৫২ লক্ষ টাকায় ৩য় তলায় আরেকটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন ।এছাড়া ডগাইড় বাজারে ক্রয় করা হয়েছে দোকান এবং বাজারের পাশে ক্রয় করা হয় কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি,এবং গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে ক্রয়করা হয়েছে বিঘায় বিঘায় চাষের জমি। জমির দলিল করার ক্ষেত্রে নগদ টাকা না নিয়ে অনেকের সাথে পার্টনার হিসেবে আছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সামান্য অফিস সহকারির চাকরি করে ঢাকা ও গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন অফিস সহকারি এমদাদ। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন এমদাদ ও কোহিনুর বেগম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডেমড়া সাবরেজিষ্ট্রার অফিসের কয়েকজন ভেন্ডার জানান “আমাদের বর্তমান সাবরেজিষ্ট্রার একজন ভালো মানুষ, কিন্তু অফিস সহকারীএমদাদ ও নকলনবীশ কোহিনুর তারা টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না।আগে তাদের টাকা দিতে হয় তার পরে তারা কাজ করে টাকা পেলে তিতাস,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারী জায়গা ,১ নং খাস খতিয়ানের জায়গা ও সাব রেজিষ্ট্রারের চোখে ধুলা দিয়ে রেজিষ্ট্রি করিয়ে দেয়” এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই।