জাতীয়

ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে জাতীয় শোক দিবস পালন

  নিজস্ব প্রতিবেদক ১৭ অগাস্ট ২০২০ , ১:৪০ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নজরুল ইসলাম বাবুঃ

১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে দিনটি। ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বেদনা বিধূঁর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে সরকারি নির্দেশনায় জুম অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশিষ্ট জনদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লার সঞ্চালনায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোঃ শাহাবুদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ খলিলুর রহমান। পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কর্মসূচী শুরু হয়। অনুষ্ঠানে “মুজিব মানেই বাংলাদেশ” নামক শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান, আত্মত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের মাধ্যমে কিভাবে বাঙালী জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ পূর্ণগঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ব্যক্ত করেন। অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালীর স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের কালজয়ী ¯্রষ্টা। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নরপিচাশরূপি খুনিরা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং হত্যার বিচার বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ক বহন করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে জননেত্রী ও দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করে। বাঙালি জাতির মনে-প্রাণে প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান হয়ে থাকবে। আলোচনা শেষে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কবিতা আবৃতি করা হয়। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন জনাব গোলাম সারওয়ার সরকার, মীর হোসেন ভূইয়া, আব্দুল্লাহ আল মকীদ কবির, মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সরকার, মাহমুদা বেগম, মাহরুফা তাজনীন, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, কুলছুমা খাতুন প্রমুখ।

ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে জাতীয় শোক দিবস পালন

  নিজস্ব প্রতিবেদক ১৭ অগাস্ট ২০২০ , ১:৪০ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নজরুল ইসলাম বাবুঃ

১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে দিনটি। ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বেদনা বিধূঁর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে সরকারি নির্দেশনায় জুম অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশিষ্ট জনদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লার সঞ্চালনায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোঃ শাহাবুদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ খলিলুর রহমান। পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কর্মসূচী শুরু হয়। অনুষ্ঠানে “মুজিব মানেই বাংলাদেশ” নামক শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান, আত্মত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের মাধ্যমে কিভাবে বাঙালী জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ পূর্ণগঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ব্যক্ত করেন। অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালীর স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের কালজয়ী ¯্রষ্টা। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নরপিচাশরূপি খুনিরা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং হত্যার বিচার বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ক বহন করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে জননেত্রী ও দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করে। বাঙালি জাতির মনে-প্রাণে প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান হয়ে থাকবে। আলোচনা শেষে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কবিতা আবৃতি করা হয়। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন জনাব গোলাম সারওয়ার সরকার, মীর হোসেন ভূইয়া, আব্দুল্লাহ আল মকীদ কবির, মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সরকার, মাহমুদা বেগম, মাহরুফা তাজনীন, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, কুলছুমা খাতুন প্রমুখ।