নিজস্ব প্রতিবেদক ২১ অগাস্ট ২০২০ , ৯:১৮ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
ডেমরা থানা আ,লীগের নেতা ও এম এ রশিদ মাষ্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালক জনাব রশিদ মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও যাত্রাবাড়ী থানা আ,লীগের নেতা মোঃআল আমিন ফকিরের সঞ্চালনায় জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক ও ঢাকা-০৫ আসনের উপনির্বাচনে সাংসদ পদপ্রার্থী জনাব হারুনুর রশীদ মুন্না,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু,৪৮ নং ওয়ার্ড আ,লীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন উদ্দিন গেসু,৫০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রনি,সাধারন সম্পাদক মুসলে উদ্দিন মুরাদ,ডেমরা থানা আ,লীগ নেতা আলমগীর হোসেন।
এসময় আরো ও উপস্থিত ছিলেন,৬৬ নং ওয়ার্ডের আ,লীগ নেতা সফিউদ্দিন খান সফি,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোজাফফর হোসেন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ রশিদ বলেন,তাদের ভয় ছিল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে।পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও এধরণের নারকীয় হত্যাকান্ডের নজির নেই।১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা দেশকে নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্য ৩রা নভেম্বর জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছিল।এমনকি ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ তে গ্রেনেড হামলা করে।এ সময় তিনি আরো ও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে বলেছেন। তবে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্তই সফল হবে না।একইসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানান
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হারুনুর রশীদ মুন্না বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার দামাল সামাল ছাত্র জনতা এক হয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীণ সার্বভৌম রাষ্ট্র। একটি অপশক্তি আমাদের দেশ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নৎসাৎ করে দেওয়ার জন্য স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তাদের ধারণা ছিল জাতীর জনককে হত্যা করলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরদিনের জন্য মুছে যাবে। তারা জানত না বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। জাতির জনকের আদর্শ বুকে লালন করে আগামী দিনে এগিয়ে যাবে দেশ এমন প্রত্যাশা করছি।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডে শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত শেষে প্রায় তিন হাজার অধিক লোককে তবারক বিতরণ করা হয়।