জাতীয়

ডিএসসিসির ৬৪,৬৫ ও ৬৬ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরের টেন্ডার বানিজ্য,ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী

  নিজস্ব প্রতিবেদক ১৬ অগাস্ট ২০২০ , ৭:০৭ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসা-বাড়ি, দোকান ও মার্কেটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন গৃহস্থালির বর্জ্য সংগ্রহ করতো পূর্বের কাউন্সিলরের লোকজন। তবে সম্প্রতি নির্বাচিত হয়েই ময়লার বানিজ্য শুরু করেছেন মহিলা কাউন্সিলর। বানিজ্য করলেও সেবা পেলে মানুষ কোন কথা বলে না। তবে ওই মহিলাকে নিয়ে সাধারনের মধ্যে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা তাকে নিয়ে বিভিন্ন কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য করছে।প্রাথমিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ হতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এলাকাভিত্তিক ভ্যান সার্ভিসের অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু গৃহস্থালি বর্জ্য অপসারণ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড পর্যায়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বিভিন্ন সময়।বিভিন্ন সময় বর্জ্য অপসারণে এলাকার বিভিন্ন সংগঠন পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াতে প্রচারিত হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ডিএসসিসির ৬৬ নং ওয়ার্ডে নতুন টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তিরা সপ্তাহব্যাপী গৃহস্থালির ময়লা অপসারণে নেই কোনো উদ্যােগ। ফলে ভোগান্তিতে সর্বসাধারন।পূর্বে যারা ময়লা অপসারণ করেছিল তারা গত এক সপ্তাহ যাবত ময়লা অপসারণ করছে না।এতে চরম দূর্ভোগে ওয়ার্ডবাসী।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বে টেন্ডার পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়লা অপসারণের কর্মী জানান, আমাদের এই মাসের ময়লা অপসারণের বিল দেয়া হবে না, তাই আমরা কাজকর্ম বন্ধ করে রেখেছি। টাকা না দিলে কী করে আমরা গৃহাস্থলির ময়লা অপসারণ করবো।
সম্প্রতি ময়লা অপসারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে মাইনউদ্দিন খান নামে একজন লিখেন,কয়েকদিন যাবত বাসাবাড়ির ময়লা পরিস্কার কর্মীরা নেয় না, এতে ভোগান্তিতে আমরা।রোকেয়া আক্তার নামে এক গৃহকর্মী জানান, কয়েকদিন যাবত ময়লা নিচ্ছে না, কোথায় ময়লা ফেলবো এখন, ময়লার গন্ধে থাকা যায় না ঘরে। পাশের উন্মুক্ত স্থানে ও ফেলা নিষেধ।কমিশনার হতে না হতেই বানিজ্য শুরু করেছেন। এসময় তিনি অতিদ্রুত গৃহস্থালির ময়লা অপসারণের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান,ময়লার টেন্ডার নিয়ে নারী কাউন্সিলর বানিজ্য করছে, তিনি চড়া দামে এলাকা ভিত্তিক প্রভাবশালী মহলের কাছে বিক্রি করার দরকষাকষি করছেন।১২ লাখ টাকার টেন্ডার নিয়ে তিনি এখন এলাকা ভিত্তিক ১০-২০ লাখ টাকা দরকষাকষির করছেন।তবে তার এই শর্ত মানতে সবাই নারাজ।তার কর্মকান্ডে সবাই ক্ষুব্ধ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অা,লীগ নেতা বলেন, অামরা অামাদের ৬৬ নং ওয়ার্ডের লোকাল কাউন্সলরকে ধরবো, তার সাথে অামাদের এলাকার উন্নয়নের সম্পক্ততা রয়েছে, এ ব্যাপারে তাকে অামরা বলবো।কমিশনার হতে না হতেই তার এতো লোভ কিসের?সংরক্ষিত  নারী কাউন্সিলরের জন্য অামাদের এলাকার কাউন্সিলরের সম্মান হানি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক   ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, যেখানে অামরা নিজের টাকা পয়সা খরচ করে দলীয় প্রোগ্রাম করি, মিছিল, মিটিং করি, সেখানে তিনি সবাইকে হতবাক করে টেন্ডার নিয়ে এসে বেশি দামে বিক্রির পায়তারা করছে। অামরা তার কর্মকান্ডে বির্বত সবাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লাকী বলেন, আমি ময়লা অপসারণ কাজের টেন্ডার পেয়েছি। এখন নতুন করে সব জায়গায় লোক সংযোজন করতে হবে। জনভোগান্তির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের সকল বর্জ্য আমি নিজে গিয়ে তদারকি করে অপসারণের ব্যবস্থা করেছি। নতুন করে গৃহস্থালির ময়লা পরিস্কারের জন্য আমার পর্যাপ্ত লোকবল দিতে হবে।একটু সময় লাগবে এ কাজের জন্য।