নিজস্ব প্রতিবেদক ১৬ নভেম্বর ২০২০ , ৮:৫৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
নাজমুল হাসানঃ
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড নারায়নগঞ্জ লিংক রোডে যানজট নিরসনে সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন টিআই জিয়াউল হায়দার (জিয়া) ।সরকারের যানজট নিরসনে নেয়া নানা পরিকল্পনা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিন রাত ট্রাফিক পুলিশের পরিশ্রমের কারণেই আজ সড়কে যানজট অনেকটা সহনীয় অবস্থায় এসে পড়ায় ভোগান্তি কমেছে।এজন্য সাইন বোর্ড এলাকার ট্রাফিক পুলিশ ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে।অন্যথায় তীব্র যানজটে প্রতিদিন থমকে যায় রাজধানী, স্তব্দ হয়ে পড়ে রাজধানীবাসীর জীবন ও জীবিকা।ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকা একটি ব্যাস্ত মহাসড়ক, প্রতিদিন চট্রগ্রাম,সিলেট,কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ নানা প্রয়োজনে নগর জীবনের আকর্ষণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধার কারণে রাজধানীতে আসে।শ্রমজীবী জনগণ বিশেষ করে নদীভাঙন ও মঙ্গাপীড়িত এলাকার গরিব অসহায় মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থানের জায়গা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা।ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষজন রুটি-রুজির প্রয়োজনেও ঢাকা শহরে প্রবেশের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে এ মহাসড়কটি।স্বভাবতই এ মহাসড়কের গাড়ি ও পথচারীদের চাপ তুলনামুলকভাবে অনেক বেশী।এ কারনে এখানে প্রায়শই যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের।ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের এই পথে যাত্রাবাড়ি থেকে সাইন বোর্ড এলাকার মধ্যে মাতুয়াইল মেডিক্যাল এলাকা বাদে কোথাও রাস্তায় গাড়ি ঘোরানোর জায়গা নেই,কোন আন্ডার পাস নেই,কোন ইউলুপ না থাকায় সব গাড়ি সাইন বোর্ড হয়ে ঘুরে আবার ঢাকাগামী হতে হয়,তাই এ কারনেও গাড়ির চাপ এখানে অত্যাধিক।এ কারনে সারাদিন ট্রাফিক পুলিশ দাড়িয়ে থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখে।ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড ট্রাফিক-বক্স এলাকার কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জিয়াউল হায়দার কাজে যোগদান করার পর থেকে যানজট নিরসনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তার অধীনস্থ ট্রাফিক সার্জেন্ট,কনস্টেবলদের টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় সফলতা এসেছে।গত তিন মাসে যানজট অনেকাংশেই কমেছে,জনদুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলতে পারছে।সীমিত জনবল দিয়ে এমন একটি জনবহুল জায়গায় যানজট নিরসন সত্যি একটি দুরুহ কাজ।সেই অসাধ্য কাজটিকে জিয়াউল হায়দার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে যানজট নিরসন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করেছেন।অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপর্যাপ্ত ও অনুন্নত সড়ক ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন চলাচল ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাসের অপ্রতুলতা, অবৈধ ফুটপাত দখল প্রধানত যানজটের জন্য দায়ী। প্রায় দুই কোটি জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে রাজধানীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে বাড়িঘর, হাট-বাজার। সংকীর্ণ রাস্তাঘাটে ছুটে চলছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন। একই সড়কে ধীরগতিসম্পন্ন রিকশা, ভ্যান ও দ্রুতগতিসম্পন্ন গাড়ি, বাস-ট্রাকের মতো যানবাহন চলাচল করায় সঠিক গতিতে চলাচল বিঘ্ন ঘটায় দেখা দিচ্ছে যানজট। ত্রুটিপূর্ণ এবং অপর্যাপ্ত ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যালও রাজধানীর যানজটের আরেকটি কারণ। । অসচেতন মানুষের সড়ক ব্যবহারে অনিয়মের কারণেও সৃষ্ট যানজটে রুদ্ধ তাদের জীবন-জীবিকার সব আয়োজন। ফলে জনমানুষের ভোগান্তি ছাড়াও প্রতিদিন অগণিত মানুষের ৮২ লাখ শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয়ে যায়। দেশ হয় ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন।পথচারী এ আর হানিফ বলেন যানজট নিরসন করে এ এলাকার ট্রফিক ইন্সপেক্টর জিয়া একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক ১৬ নভেম্বর ২০২০ , ৮:৫৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
নাজমুল হাসানঃ
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড নারায়নগঞ্জ লিংক রোডে যানজট নিরসনে সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন টিআই জিয়াউল হায়দার (জিয়া) ।সরকারের যানজট নিরসনে নেয়া নানা পরিকল্পনা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিন রাত ট্রাফিক পুলিশের পরিশ্রমের কারণেই আজ সড়কে যানজট অনেকটা সহনীয় অবস্থায় এসে পড়ায় ভোগান্তি কমেছে।এজন্য সাইন বোর্ড এলাকার ট্রাফিক পুলিশ ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে।অন্যথায় তীব্র যানজটে প্রতিদিন থমকে যায় রাজধানী, স্তব্দ হয়ে পড়ে রাজধানীবাসীর জীবন ও জীবিকা।ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকা একটি ব্যাস্ত মহাসড়ক, প্রতিদিন চট্রগ্রাম,সিলেট,কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ নানা প্রয়োজনে নগর জীবনের আকর্ষণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধার কারণে রাজধানীতে আসে।শ্রমজীবী জনগণ বিশেষ করে নদীভাঙন ও মঙ্গাপীড়িত এলাকার গরিব অসহায় মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থানের জায়গা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা।ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষজন রুটি-রুজির প্রয়োজনেও ঢাকা শহরে প্রবেশের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে এ মহাসড়কটি।স্বভাবতই এ মহাসড়কের গাড়ি ও পথচারীদের চাপ তুলনামুলকভাবে অনেক বেশী।এ কারনে এখানে প্রায়শই যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রীদের।ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের এই পথে যাত্রাবাড়ি থেকে সাইন বোর্ড এলাকার মধ্যে মাতুয়াইল মেডিক্যাল এলাকা বাদে কোথাও রাস্তায় গাড়ি ঘোরানোর জায়গা নেই,কোন আন্ডার পাস নেই,কোন ইউলুপ না থাকায় সব গাড়ি সাইন বোর্ড হয়ে ঘুরে আবার ঢাকাগামী হতে হয়,তাই এ কারনেও গাড়ির চাপ এখানে অত্যাধিক।এ কারনে সারাদিন ট্রাফিক পুলিশ দাড়িয়ে থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখে।ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড ট্রাফিক-বক্স এলাকার কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জিয়াউল হায়দার কাজে যোগদান করার পর থেকে যানজট নিরসনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তার অধীনস্থ ট্রাফিক সার্জেন্ট,কনস্টেবলদের টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় সফলতা এসেছে।গত তিন মাসে যানজট অনেকাংশেই কমেছে,জনদুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলতে পারছে।সীমিত জনবল দিয়ে এমন একটি জনবহুল জায়গায় যানজট নিরসন সত্যি একটি দুরুহ কাজ।সেই অসাধ্য কাজটিকে জিয়াউল হায়দার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে যানজট নিরসন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করেছেন।অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপর্যাপ্ত ও অনুন্নত সড়ক ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন চলাচল ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাসের অপ্রতুলতা, অবৈধ ফুটপাত দখল প্রধানত যানজটের জন্য দায়ী। প্রায় দুই কোটি জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে রাজধানীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে বাড়িঘর, হাট-বাজার। সংকীর্ণ রাস্তাঘাটে ছুটে চলছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন। একই সড়কে ধীরগতিসম্পন্ন রিকশা, ভ্যান ও দ্রুতগতিসম্পন্ন গাড়ি, বাস-ট্রাকের মতো যানবাহন চলাচল করায় সঠিক গতিতে চলাচল বিঘ্ন ঘটায় দেখা দিচ্ছে যানজট। ত্রুটিপূর্ণ এবং অপর্যাপ্ত ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যালও রাজধানীর যানজটের আরেকটি কারণ। । অসচেতন মানুষের সড়ক ব্যবহারে অনিয়মের কারণেও সৃষ্ট যানজটে রুদ্ধ তাদের জীবন-জীবিকার সব আয়োজন। ফলে জনমানুষের ভোগান্তি ছাড়াও প্রতিদিন অগণিত মানুষের ৮২ লাখ শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয়ে যায়। দেশ হয় ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন।পথচারী এ আর হানিফ বলেন যানজট নিরসন করে এ এলাকার ট্রফিক ইন্সপেক্টর জিয়া একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।