নিজস্ব প্রতিবেদক ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৯:৩৬ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
নাজমুল হাসানঃ
দুর্ঘটনাসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে ব্যস্ততম সড়কে কাজ করেন ট্রাফিক পুলিশের শনির আখড়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই মৃদুল পাল।রাস্তার ধুলো-বালিতে পোশাক মলিন হয়,রোদ, গরম, গাড়ির ধোঁয়া, গাড়ির হর্ন ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভোগেন তার পরেও নিয়মিত ৮ ঘন্টা ডিউটির স্থলে কথনো কখনো ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন।
ডিজিটালাইজড ট্রাফিক সিগনাল না থাকায় সারদিন রাত ম্যানুয়ালিহাত উঁচিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রন সহ সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই মৃদুল পাল।যানজট নিরসনে তিনি একজন নিরলস কর্মীর ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছেন।রাস্তার ধুলোবালি আর প্রতিকুল পরি বেশে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,বলেন, ‘আমরা দিনে ১৫-১৬ ঘণ্টা ডিউটি করি— এটা ঠিক। কিন্তু পুলিশে যখন ঢুকেছি, তখন তো এগুলো জেনেশুনেই ঢুকেছি। মানুষের জন্য কাজ করবো। প্রয়োজনে সারাদিনই কাজ করবো। মূল সমস্যা হচ্ছে— রাস্তায় কেউই আইন মানতে চায় না। সবাই যদি আইন মেনে চলে, তাহলে রাস্তার পরিবেশ ভালো থাকবে। ট্রাফিক পুলিশের ভোগান্তিও কমে আসবে।’ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী গাড়ি, মালবাহি গাড়ীও চলাচল করে। কিন্তু ব্যস্ততম এই সড়কে মাইলের পর মাইল অনেক সময় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।সেই সময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ট্রাফিক পুলিশ কে সেই যানজট সামাল দিতে হয়। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মৃদুল পাল তার সামান্য জনবল নিয়ে সব সমস্যা লাঘবে কাজ করেন।তার কাজের মধ্যে সততা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতা সহজেই চোখে পড়ে এজন্য এই এলাকায় তিনি একজন দ্বায়িত্ববান অফিসার হিসেবে সকলের নিকট সুপরিচিত।ডেমরা ট্রাফিক জোনের এই এলাকাটি বিশেষ করে শনির আখড়া হতে মাতুয়াইল তামিরুল মিল্রাত মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখা একটি দুরুহ কাজ।এখানে ব্যাটারী চালিত অটো রিকসা-ইজিবাইকের চলাচলের আধিক্য রয়েছে তাই নিষিদ্ধ ঘোষিত এসব গাড়ি যেন মহাসড়কে উঠতে না পারে সেই বিষয়টি সব সময় ট্রাফিক পুলিশ কে মাথায় রাখতে হয়।ব্যাটারী চালিত গাড়ি গুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করেন টিআই মৃদুল পাল।সড়ক দুর্ঘটনা রোধ,নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা মৃদুল পাল সর্বদা সচেষ্ট থাকেন।