দেশজুড়ে

কুপ্রস্তাবের অভিযোগ করায় হাসপাতালের নারী কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি

  নিজস্ব প্রতিবেদক ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৮:৫৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

কুপ্রস্তাবের অভিযোগ করায় হাসপাতালের নারী কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। থানায় নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ করে প্রাণনাশের হুমকিতে পড়েছেন হাসপাতালেরই এক নারী কর্মচারী।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৫ সালে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইকুইপমেন্ট ইনচার্জ হিসেবে চাকরি নেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ওই নারীর স্বামী চাকরি নিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার পর ২-৩ বছর ধরে তাকে নিয়মিত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন ডা. বাহার উদ্দিন।

কিন্তু কোনো অবস্থাতেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ডা. বাহার উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অজুহাত তৈরি করে তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী কর্মচারী হাসপাতালটির প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার বাহার উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি-নির্যাতনের উদ্দেশ্যে কুপ্রস্তাব এবং হুমকি-ধামকির কথা উল্লেখ করে বাজিতপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

আর এমন অভিযোগ দায়েরের পর প্রাণনাশের হুমকিতে পড়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ওই ভুক্তভোগী নারী কর্মচারী বলেন, প্রভাবশালী ওই চিকিৎসক বাহার উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপরতা চালাচ্ছে। আমার জীবনই এখন হুমকির সম্মুখীন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, এসব অপকর্ম ছাড়াও গুঞ্জন রয়েছে, ভুয়া ও জাল সনদে বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সেজে একটি প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করে আসছেন।

অভিযোগের বিষয়ে ডা. অধ্যাপক বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, তার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অসৎ উদ্দেশ্যে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী কর্মচারী। এছাড়া তার ভুয়া ও জাল সনদে চাকুরির অভিযোগ ওঠার বিষয়টিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও দাবি করেন, তার অধস্তন ওই নারী কর্মচারী নিজের কর্তব্যে অবহেলার অপরাধ আড়ালে এমন নির্জলা মিথ্যাচার করছেন।

বাজিতপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামে নারী কর্তৃক অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলামকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই তিনি তদন্তকাজ শুরুও করছেন।