রাজনীতি

ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে সফল করতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা

  নিজস্ব প্রতিবেদক ৬ মার্চ ২০২১ , ১১:১৭ এএম প্রিন্ট সংস্করণ

সালে আহমেদ,ডেমরাঃ

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে সফল করতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যােগে অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর ডেমরার ৭০ নং ওয়ার্ডের ঠুলঠুলিয়ায় ঐতিহাসিক এই দিনটিকে সফলভাবে পালন করতে এ অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা অাওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকসানা অাক্তার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ডেমরা থানার সভাপতি ভুইয়া মোঃশরিফ,৭০ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জনাব  সেলিম মিয়া,ডেমরা থানার মহিলা সহ সম্পাদিকা শিল্পী অাক্তার,অগ্রনী ব্যাংকের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক কাজী নাজির হোসেন, কৃষকলীগের যুগ্ম অাহবায়ক ও ডেমরা থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন,ডেমরা থানা দপ্তর সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন,৭০ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাবউদ্দিন, ডেমরা থানার বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ইস্কান্দার,৭০ নং ওয়ার্ডের ১ম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ভুইয়া মোঃশরিফ বলেন, “৭ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে।গণ সূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে’ বাংলাদেশের স্বাধীনতার অমর কবিতা শুনিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ এর ৭ মার্চের পড়ন্ত বিকেলের অপ্রতিরোধ্য বজ্রকণ্ঠ, দ্রোহের আগুন জ্বালিয়েছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে। ‘শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
৭ ই মার্চের অনুষ্ঠান সফল করতে অামাদের অালোচনা সভা।
উল্লেখ্য যে,বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে।
বিভিন্ন দেশের ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।