সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
দেশের অর্থনৈতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান আমান গ্রুপের সুনাম নষ্ট করতে পায়তারা করছে কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিরা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর তীরে হারিয়া, সোনামুহী ও বৈদ্যেরবাজার এলাকায় ৯০ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তুলেছেন আমান গ্রুপ। আমান গ্রুপের কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবী করায় গতকাল দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানে এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে আমান গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন) রবিউল ইসলাম বলেন, আমান গ্রুপের সরকারী জায়গা সরকারি জায়গায় খাল, নদী, রাস্তা, দখল করে আমরা শিল্প কারখান নির্মান করছি বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। যা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমরা এলাকা বাসীদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য দিয়ে জায়গা ক্রয় করে ও সরকারি খাস জায়গা ইজারা নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান কোন খাল-নদী ও মানুষ চলাচলের রাস্তা দখল ও বন্ধ করিনি। তিনি আরো বলেন, আমাকে ভূমিদস্যু হিসাবে উল্লেখ্য করা হয়েছে। আমি জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে একাধিক বার একই জমি ক্রয় করেছি। যা ইতিপূর্বে কোন কোম্পানীর মালিক করেনি।
ওই প্রতিষ্ঠানের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মোহাম্মদ নাদিরুজ্জামান জানান, একটি কুচক্রি মহল আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই চক্রটি আমার বিরুদ্ধে জাহিদুল সহ একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমি বিভিন্ন রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছি বলে প্রচার করছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বাহিনীর এসআই পদে চাকুরিতে যোগদান করে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করি। স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে দিয়ে একটি কোম্পানির দায়িত্বশীল পদে থেকে দেশের উন্নয়নে ও কোম্পানির সুনাম রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছি। কতিপয় এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা দাবী করে আসছে। আমরা তাদের চাঁদা না দেওয়ায় আমি ও আমার কোম্পানিকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। অবিলম্বে এ সকল চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহুমুখী শিল্প উৎপাদনের মাধ্যমে আমান গ্রুপ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে আসছে। জার্মানির উৎপাদন প্রযুক্তিতে নির্মিত তাদের নতুন কারখানায় রয়েছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবসা। বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস থেকে এই কারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমান গ্রুপের সবকটি কারখানাই গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছে। শিল্পাঞ্চলে প্রায় ২৮ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে, এই শিল্পাঞ্চলে শুধুমাত্র স্বদেশী বিনিয়োগকারীদেরই চাহিদা পূরন করবে না, তার সাথে বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরও আকৃষ্ট করবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আমান গ্রুপের একজন কর্মকর্তা। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
মোঃ আল আমিন
সোনারগাঁও প্রতিনিধি
তাং ২৯/০৯/২০২০ইং
