সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৬ (বামৈল, ডগাইর)নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিন সাউদ ।গত বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন।সম্প্রতি বিজনেস বাংলাদেশের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মতিন সাউদ বলেছেন, জনগণের সেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে আগমন করেছিলেন তিনি। লক্ষ্য- সমাজ ও এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখা। সে জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।
কাউন্সিলর মতিন সাউদ বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, তিনি তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চান। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন তিনি।
উদ্যােমী কাউন্সিলর হিসেবে তিনি সুপরিচিত। মাঠে থেকে কাজ করতে পছন্দ করি এবং আমি নিজে কাজ করতে পছন্দ করি।
তরুণ প্রজন্মের যারা আছেন, তুমি যদি একজন সৎ মানুষ হতে পারো, তোমাকে দেখে আর দশজন শিখবে। অনেকে আছেন অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। তাদের টাকা-পয়সা দরকার পড়ে না। তাদের আমি বেশি করে বোঝাই। তুমি যদি আসো তাহলে তুমি আর দশটা ছেলে তোমাকে দেখে শিখবে যে এরা কাজ করে, দুর্নীতি করে না। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলা। এটার জন্য যা যা করা দরকার আমি সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
সাম্প্রতিক বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, আপনাদের সকল সমস্যা জানান। যেন আমরা কাজ করতে পারি।যখনই সময় হয় রাতে বিরাতে জনসেবায় ছুটে যাই। নাগরিক সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকি।এলাকার রাস্তা ঘাটের সমস্যা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করছি।ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করতে তদারকি করছি প্রয়োজনে নিজে গিয়ে সমাধান করছি।এলাকার অভ্যন্তরীন সকল সমস্যা সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে সচেষ্ট রয়েছি।বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা খুজে খুঁজে বের করে দিচ্ছি।মডেল ওয়ার্ড গড়তে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছি গত এক বছর ধরে। আপনার ঘরের ভেতরে কী হবে আমি জানি না। কিন্তু আপনি যদি বলেন, আপনার ঘরে মশা কামড়াচ্ছে বা কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আমাদের জানান। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমাদের সুযোগ দিন। আমরা জনগণের হয়ে কাজ করছি। আমার জনগণের কাছে একটাই অনুরোধ- আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। সহযোগিতা করে আমাদের কাজ করার সুযোগ দিন। দেখুন, আমি জনপ্রতিনিধি না জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চাই।